,

নবীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সেজু হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত সুয়েবের ৩ দিনের রিমান্ড

জাবেদ তালুকদার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ৮নং নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের গুজাখাইর গ্রামের সহিদ উল্লাহর পুত্র মিশুক চালক ১৮ বছর বয়সী আবেদ উল্লাহ সেজু হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত সুয়েব মিয়ার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বিজ্ঞ আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫ আদালতে হাজির হয়ে গ্রেফতারকৃত সুয়েবের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে সুয়েবের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গ্রেফতারকৃত রিমান্ডের আসামী ৩৩ বছর সুয়েব মিয়া উমেদনগর গ্রামের আজগর আলীর পুত্র। সে দীর্ঘদিন ধরে নবীগঞ্জ উপজেলার ৮নং সদর ইউনিয়নের পশ্চিম তিমির পুর গ্রামে পরিবার নিয়ে বসবাস করছে। সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ৮নং সদর ইউনিয়নের গুজাখাইর গ্রামের সাহিদ উল্লাহ’র পুত্র আবিদ উল্লাহ সেজু গত শনিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু ওইদিন গভীর রাত হয়ে গেলেও সে আর ফিরে আসেনি। এমনকি তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। পরিবারের ধারনা-রাতের কোনো এক সময় অটোরিকশা চালানো অবস্থায় অটো-রিকশাসহ নিখোঁজ হন সেজু। এরপর তার আত্মীয়স্বজন সম্ভাব্য সকল স্থানে যোগাযোগ করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে গত রবিবার (২৫ অক্টোবর) আবিদ উল্লাহ সেজুর পরিবারের পক্ষ থেকে নবীগঞ্জ থানায় একটি জিডি করা হয়। নিখোঁজ ডায়েরি দায়েরের পর থেকেই পুলিশ বিভিন্ন স্থানে সেজুর সন্ধান চালায় পুলিশ। নিখোঁজের ৪ দিনের মাথায় গত মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সকালে নবীগঞ্জ পৌরসভার পূর্ব তিমিরপুর এমআরসি ব্রিকস ফিল্ডের পার্শ্ববর্তী এক ধান ক্ষেত থেকে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় (২৮ অক্টোবর) আবিদ উল্লাহ সেজুর ভাই রাজু মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর থেকেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই শামসুল ইসলাম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে অপরাধীকে শনাক্তে ও ধরতে বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। এরই প্রেক্ষিতে গত শনিবার (৩১ অক্টোবর) গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র অনুযায়ী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই শামসুল ইসলামের নেতৃত্বে নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের পশ্চিম তিমিরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সুয়েব মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামছুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, ঘটনার দিন থেকে আমরা প্রকৃত ঘটনা উদ্ধার ও ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের ধরতে কাজ করে যাচ্ছি। তদন্তের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে, গ্রেফতারকৃত সুয়েবকে রিমান্ডে আনা হচ্ছে। আশা করছি শীঘ্রই ঘটনার সাথে জড়িত বাকি আসামীদের গ্রেফতার ও হত্যার আলামত উদ্ধার করতে পারব।


     এই বিভাগের আরো খবর